নাসিম আজাদ, নরসিংদী জার্নাল: ৫৪৩ দিন বন্ধ থাকার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় অন্ধকার কাটিয়ে আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার স্কুল কলেজ সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা আজ সকাল ৮ টার পর থেকে আসতে শুরু করে।
মাক্স ছিল প্রত্যেকের মুখেই, আর হাসির ঝিলিক ছিলো চেহারায়। প্রত্যেকের তাপমাত্রা মেপে স্কুলের গেইটের ভিতর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। হ্যান্ড ওয়াস সেনিটারাইজার সহ সকল ব্যাবস্থা ছিল। দেখা গেছে ছাত্র ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করছে স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকা সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা পর্যন্ত। ছাত্র ছাত্রীদের বরণ করে নিতে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছিল বিদ্যালয় গুলোকে।উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা গেছে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বইছে আনন্দের বন্যা। পলাশ শিল্পাঞ্চল সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র নিলয় কুমার ঘোষ নরসিংদী জার্নালকে জানান, কলেজ বন্ধ থাকায় মন ভালো ছিলোনা। দীর্ঘদিন পর কলেজে আসতে পেরে আমি খুবই খুশি। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য।
উক্ত কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করছি দীর্ঘদিন পর কলেজে আসতে পেরে। মহামারী করোনা ভাইরাস যেন আল্লাহ তায়ালা চিরতরে নির্মুল করে দেন। পলাশ উপজেলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র প্রশান্ত সরকার বলেন, স্কুল বন্ধ থাকা কালীন সময় গুলো পড়াশোনা ও খেলাধুলা করে কাটিয়েছি। আর যেন বন্ধ না হয়, আমরা যেন প্রতিদিন স্কুলে আসতে পারি।
পলাশ উপজেলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরুণ কুমার জানান, মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারনে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা স্কুলে পাঠদানের কার্যক্রম শুরু করেছি।
পলাশ শিল্পাঞ্চল সরকারি কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর আমিনুল হক বলেন, আজ থেকে সারা দেশব্যাপী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে জেনেই একসপ্তাহ আগে থেকে কলেজের মাঠ আঙিনা সহ প্রতিটি ক্লাস রুম পরিস্কার পরিছন্ন করে জীবানু মুক্ত করে রেখেছি। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে আমাদের ক্লাসগুলোতে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজা খান ইউসুফজী জানান, সরকারি নির্দেশনা মেনেই ক্লাসগুলো নেওয়া হচ্ছে। ক্লাসরুমে দূরত্ব বর্জায় রেখেই ছাত্র ছাত্রীদের বসানো হয়েছে। সর্দি কাসি হলে নিরাপত্তা সহকারে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মিলন কৃষ্ণ হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে আইসোলেশনের পাশাপাশি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।