নাসিম আজাদ, নরসিংদী জার্নাল: আন্তঃজেলা ছি’ন’তা’ইকারী চক্রের ৭ মহিলা সদস্য গ্রেফতার। ছি’ন’তাই করে পালনোর সময় আন্তঃজেলা ছি’ন’তাইারী চ’ক্রে’র ৭ সদস্যকে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার পারুলিয়া চৌরাস্তা মোড় থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় গ্রফতার করেছে পু’লিশ।
জানা যায়, উপজেলার নরসিংহারচর গ্রামের দেলোয়ার ভূইয়ার স্ত্রী সোমা আক্তার পূর্ব পলাশ দড়িহাওলা পাড়ার একটি বাসায় প্রতিদিন আরবি পড়তে যায়। প্রতিদিনের ন্যায় আজ মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে আরবি পড়া শেষ করে ব্যাটারী চালিত একটি অটোরিকশায় বাড়ি ফেরার পথে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মহিলারা চালককে অটোরিকশা থামানোর সংকেত দেয়।
অটোরিকশাটি থামালে ৭ জন মহিলা চাপাচাপি করে উঠে পড়ে এবং ভুক্তভোগী সোমা আক্তারের দুইপাশে বসে। কিছু দূর আসার পর মহিলারা চেচামেচি করতে শুরু করে। নিচে ৫০ টি টাকা পরে গিয়েছে বলে খোজাখুজি করতে থাকে।
সোমা আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পারুলিয়া মোড়ে আসার আগেই গ’লা’য় ও কা’নে হাতদিয়ে আমার স্বর্ণালংকার পা’চ্ছি’লামনা। পরস্পরের যোগসাজশে সুকৌশলে চু’রি করে আমার স্বর্ণা’লংকার নিয়ে গেছে টের পেয়ে অটোরিকশাটি পারুলিয়া মোড়ে আসলে চিৎ’কার করতে থাকি।
আমার চি’ৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে চক্রটি ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে, পলাশ থানা পুলিশ তাদের গ্রে’ফতার করে নিয়ে যায়।
গেফতারকৃত ছিনতাই চক্রের সদস্য,মিনারা বেগম, জায়েদা আক্তার, রোজিনা বেগম, সোনিয়া বেগম, আফিয়া বেগম,ডলি আক্তার ও ফুলতারা বেগম। তাদের বয়স ২১ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। প্রত্যেকের বাড়ি ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার নাসির নগর থানায়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সোমা আক্তার বাদী হয়ে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এটি একটি সং’বদ্ধ চ’ক্র।
তারা নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগন্জ ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবত সুকৌশলে ছিনতাই ও চু’রি করে আসছে। তারা আন্তঃজেলা ছিনতাইকারী চ’ক্রের সক্রী’য় সদস্য। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমরা তাদের গ্রে’ফতার করে আ’দা’লতে সোপর্দ করেছি।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সুম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ খবর মিডিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান।