মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪৩ অপরাহ্ন

পলাশে মাঠ জুড়ে রোপা আমনের শোভা বিস্তার

নাসিম আজাদ, নরসিংদী জার্নাল / ১১৫৪ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১
পলাশে_মাঠ_জুড়ে_রোপা_আমনের_শোভা_বিস্তার

নাসিম আজাদ, নরসিংদী জার্নাল: পলাশে মাঠ জুড়ে রোপা আমনের শোভা বিস্তার। নরসিংদীর পলাশ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন রুপা আমন ধান শোভা বিস্তার করেছে।

চারদিকে শুধুই সবুজ আর সবুজ। কি চমৎকারই না লাগছে দেখতে! সবুজ ধান ক্ষেতের দিকে কিছু সময় তাকিয়ে দেখলে প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। চোখের যদিও মিটে তবুও মনের হতাশাটুকু রয়েই যায়। যতদূর দুচোখ যায় বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আমন ধান ক্ষেত যেন সবুজ বিছানা বিছিয়েতে।

এমন দৃশ্যে মনটা পুলকিত হয়, শিহরণ জাগে প্রাণে। হৃদয়ে জাগ্রত হয় সুখের স্পন্দন। স্বপ্নে বিভোর কৃষককূল।নিজ সন্তানের চেয়েও যেন বেশি মায়া পড়ে গেছে ধান ক্ষেতে। আর তাইতো যত্নের কোনো কমতি নেই,নেই কোনো অবহেলা। প্রতিনিয়ত স্বপ্নের দোলাচল।বাৎসরিক বাজেটও আঁকা হয়ে গেছে মনের ক্যানভাসে।যত্নে মানুষ করা ধান গাছগুলোর প্রতি চোখের কড়া নজর কৃষকদের। ভালো ফলনের আশায় বুকে স্বপ্ন বোনা কৃষকেরা ধান ক্ষেতের সাথেই থাকছে পুরোটা সময়। কোন ভাবেই যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় অতি যত্নে গড়ে তোলা সাধের স্বপ্নগুলো।

এখন শুধুই অপেক্ষা কবে,কখন আর কোন সময় সবুজ ধান গাছগুলো সোনালী রং ধারণ করবে? কাঙ্খিত সেই লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন সারথী সোনালী ধান বাড়িতে আসবে,মৌ মৌ গন্ধে কৃষাণ-কৃষাণীরা ব্যাস্ত হয়ে উঠবে লালিত স্বপ্নের প্রত্যাশা পূরণে।
রোপা আমনের চাষাবাদ সম্পর্কে পলাশ উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পলাশ উপজেলায় রোপা আমন মৌসুমে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৫ শত ৮৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৫ হেক্টর, উফশী ৩ হাজার ২শত হেক্টর ও ৩ শত ৮০ হেক্টর।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু নাদির এস এ সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা এবার আমন মৌসুমে ১শ ভাগের কাছাকাছি লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পারবো বলে আশা করছি। কৃষি জমি কিছু অকৃষি খাতে যাওয়ার কারণে আমাদের লক্ষ্য মাত্রা কিছুটা কমে গিয়েছে।

কিন্তু আমাদের নতুন নতুন যে প্রযুক্তি আছে যেমন, এ ডাব্লিউ ডি,পাচিং, লাইনলগো পদ্ধতি, জৈব সার প্রয়োগ। এই পদ্ধতি গুলো সহ সুষম মাত্রায় ইউড়িয়া সার প্রয়োগ কারার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আমাদের বেশ কিছু প্রকল্পের কার্যক্রম অব্যাহত আছে যেমন,সৌর শক্তি, পানি সেচ শিল্প বৃদ্ধির মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

এছাড়াও বিভিন্ন কৃষি চাষ পদ্ধতির বিষয়ে কৃষকদের উঠান বৈঠক ও পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে প্রান্তিক কৃষকেরা এর সুফল ভোগ করতে পারে।আমরা আশা করছি এ বছর এই উপজেলার কৃষকেরা ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দাম পেয়ে লাভের মুখ দেখবে।

এই ওয়েবসাইটের লেখা আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!