মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন

পাকুন্দিয়াতে জোরপূর্বক বসতভিটা দখল

তানভীর আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার / ১০৬৮ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১
পাকুন্দিয়াতে_জোরপূর্ব_বসতভিটা_দখল
(প্রতীকী ছবি)

তানভীর আহমেদ, স্টাফ রিপোর্টার: পাকুন্দিয়াতে জোরপূর্বক বসতভিটা দখল। গ্রাম্য সালিশ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তি জোর করে দখলের অভিযোগ উঠেছে। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার দক্ষিণ খামা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, খামা মৌজার পনের ১৩ শতাংশ জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জেরে একাধিকবার ভুক্তভোগী রহিমা আক্তারের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা চালায় সুরুজ মিয়া ও তার সহোদর ভাই চাঁন মিয়া।

ভুক্তভোগী রহিমা বলেন আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে সুরুজ মিয়া ও চাঁন মিয়া বিভিন্নভাবে আমাকে হয়রানি ও মারধর করে। বিভিন্ন সময় আমাকে ও আমার ছেলে মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। দীর্ঘদিন যাবত আমার ছেলে তাদের ভয়ে সৌদি আরবে প্রবাসে আছে । প্রাণনাশের ভয়ে বাড়িতে আসতে পারছে না। স্থানীয় ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খুরশেদের কাছে গেলে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন নিষ্পত্তির জন্য।

এই নিয়ে খোরশেদ মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন কিন্তু রহিমার পরিবারের উপর সুরুজ মিয়া ও চাঁন মিয়ার নির্যাতন জোরপূর্বক জায়গা দখলের ঘটনা সত্য। প্রকৃতপক্ষে জমির মালিক রহিমা আক্তার ,আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।

সম্প্রতি সুরুজ মিয়া নালিশি সম্পত্তিটির চারদিকে বাঁশ ও টিন বেড়া দিয়ে ঘিরে তা দখলে নিয়েছেন। সেখানে তিনি একটি সেমি পাকা টিনের ঘর ও বহুতল ভবন নির্মাণ করেন।

ওই সম্পত্তির দাবিদার রহিমা আক্তারের মেয়ে পারভীন আক্তার জানান, বাবা মৃত্যুর পর তার পৈতৃক পুনে ১৩ শতাংশ বসতভিটা জোরপূর্বক দখল করে আসছে সুরুজ মিয়া ও তার ভাই চাঁন মিয়া। বাকি অংশে ভোগদখল করে আসছিলেন। ১৯৮৯ সালে ওই জায়গার জাল দলিলের মাধ্যমে দখল করে নেয় সুরুজ ও চাঁন মিয়া।

বিরোধপূর্ণ জায়গা নিয়ে ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে একাধিক সালিশ হলেও জায়গা ছাড়তে নারাজ বিবাদীগন, এক পর্যায়ে বিরোধের বিষয়টি নিয়ে ২০২০ সালে মানবাধিকার সংস্থার দ্বারস্থ হয় ভুক্তভোগী রহিমা আক্তার। রহিমার অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি আমলে নিলে বেরিয়ে আসে জাল দলিলের মাধ্যমে জায়গা দখলের অভিযোগে তথ্য।

ওই বিরোধপূর্ণ জমির উপর ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে আদালত স্থিতাবস্থা জারি করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুরুজ মিয়া জানান, ৯ শতাংশ জায়গার আমরা দলিল আছে বাকি পনে ৪ শতাংশ ক্রয় করেছি কিন্তু আমাকে দলিল করে দেয়নি রহিমা আক্তার, তবে পনে ৪ শতাংশ জমি আমার দখলে আছে।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সারোয়ার নরসিংদী জার্নালকে বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে আদালতে দাখিল করি , আদালতের নির্দেশে এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই ওয়েবসাইটের লেখা আলোকচিত্র, অডিও ও ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ

error: Content is protected !!
error: Content is protected !!