আন্তর্জাতিক ডেস্ক, নরসিংদী জার্নাল: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি আরবি নতুন বছরের প্রথম তারিখ থেকে ওমরাহ্ পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সৌদি আরব। ভারত, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়াসহ তালিকায় থাকা ১৩টি দেশের নাগরিক আপাতত পাচ্ছেনা ওমরা পালনের সুযোগ। তবে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই বাংলাদেশের নাম। কিন্তু শর্ত হচ্ছে টিকার দুটিই ডোজই নিতে হবে।
প্রায় দেড় বছর পর আগামী ১০ আগস্ট থেকে ওমরা পালনের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা। সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রতিদিন ২০ হাজারের বেশি মুসল্লি ওমরা পালন করতে পারবেন। সৌদি হজ ও ওমরাহ্ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে কত সংখ্যক মুসল্লি প্রতিদিন ওমরাহ্ পালনের সুযোগ পাবেন।
তবে করোনার উর্ধ্বগতির কারণে ভারত, পাকিস্তান, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইথিওপিয়া, ভিয়েতনাম, লেবানন ও আফগানিস্তানের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় এসব দেশের নাগরিকরা আপাতত ওমরাহ্ পালনের সুযোগ পাচ্ছেনা। তবে সুখবর হলো আর এতেই প্রায় দেড় বছর পর ওমরাহ্ পালনের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশিরা। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণের সনদ থাকতে হবে।
হজ ও ওমরাহ্ জাতীয় কমিটি জানিয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীরা ওমরাহ্ প্যাকেজ বুক করার জন্য নির্ভরযোগ্য ৩০টি ওয়েবসাইট প্লাটফর্মের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে পারবেন। ওমরাহ্ পালনকারীদের অবশ্যই স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সৌদি সরকারের প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক ওমরাহ্ সার্ভিস কোম্পানি এবং ছয় হাজারের বেশি বিদেশি ওমরাহ্ এজেন্ট ভ্যাকসিন গ্রহণ করা বিদেশি হজযাত্রীরা ওমরাহ্ পালনের জন্য তাদের প্যাকেজ গ্রহণ করতে শুরু করেছেন।
ছবি: সংগৃহীত
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বহির্বিশ্বের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে সৌদি আরব সরকার। যার কারণে ওমরা পালন করা থেকে বঞ্চিত ছিলেন বহির্বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। বর্তমানে সৌদি আরবে করোনা পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকায় এবং সম্প্রতি স্থানীয়ভাবে ৬০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠুভাবে হজ সম্পাদন সম্পন্ন হওয়ায় সৌদি সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে সেই সব দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ওমরা করার সুযোগ পাবেন যেসব দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আছে এবং করোনা মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য দেশগুলো থেকেও ওমরা পালন করার জন্য আগ্রহীদের সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর।