স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট: ভেজাল ওষুধে সয়লাব নরসিংদীর গ্রামাঞ্চল। একবার ভাবুনতো, আপনি যে সরিষা এনেছেন ভূ’ত তাড়াতে তাতেই যদি ভূ’ত থাকে তাহলে কেমন হবে? মানুষ রোগ থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ খায়, সেই ওষুধেই যদি ভে’জাল থাকে তবে সাধারণ মানুষ আর যাবে কয়! দিনকে দিন এমনই প্রতারণার মাধ্যমে ভে’জাল ও ন’কল ওষুধ বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি অ’সাধু চ’ক্র।
এই অ’সাধু চ’ক্রে খুচরা ও পাইকারি ওষুধের দোকানদারও জড়িত। শহর থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত সব ওষুধের দোকানের একই চিত্র। তবে এই পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে গ্রাম-গঞ্জের ওষুধের দোকানগুলোতে।
নরসিংদীর জার্নাল অনুসন্ধানে জানা যায়, নরসিংদীর সদরের আশপাশের এলাকা থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত একই চিত্র বিদ্যমান। গ্রামের মানুষ নিরক্ষর ও স্বল্প শিক্ষিত হওয়ায় এখানে বেনামি ও অখ্যাত ব্র্যান্ডের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দেদারছে।
পাশাপাশি রয়েছে এন্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার। আবার যেসব এন্টিবায়োটিক ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত বিক্রি নি’ষি’দ্ধ সেসব কেটে কেটে একপিস দু’পিস করে বিক্রি করা হচ্ছে। যাদের বেশির ভাগই বেনামি ও অখ্যাত প্রতিষ্ঠানে এন্টি’বায়োটিক।
একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ ছাড়া ওষুধ কেনা বন্ধ করতে হবে।’ কিন্তু চাইলেই রাতারাতি এই প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। কারণ আমাদের দেশে এখনো পর্যাপ্ত ডাক্তারের অপ্রতুলতা রয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নিলক্ষা, বাঁশগাড়ি, মির্জারচর, পাড়াতলী, সায়েদাবাদসহ নরসিংদীর প্রায় সবকটি গ্রামের একই চিত্র। এসব অঞ্চলে সেকলো, প্যারাসিটামল, ক্যালশিয়াম, ভিটামিনসহ জীবনরক্ষাকারী প্রায় সব ধরণের ন’ক’ল ও ভেজাল ওষুধের রমরমা ব্যবসা চলছে। বিক্রি হচ্ছে নি’ষি’দ্ধ ভেজাল যৌ’ন উ’ত্তে’জক ওষুধও।