প্রদীপ কুমার দেবনাথ, নিজস্ব প্রতিনিধি, নরসিংদী জর্নাল: স্বাস্থ্য বিধি মানছেনা অভিভাবকরা, করোনা সংক্রমনের আশংকা। দীর্ঘসময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলে দেওয়া হয়েছে ১২ সেপ্টেম্বর।
বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনা আর উৎসবমূখর পরিবেশে কঠোর স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে শ্রেণী কার্যক্রম চলছে। শ্রেণীকক্ষে ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে প্রায় সব প্রতিষ্ঠানেই নেওয়া হয়েছে করোনা প্রতিরোধে ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মাস্ক পরিধানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে।
শ্রেণিকক্ষে ও শ্রেণিকক্ষের বাইরে নির্ধারিত স্থানে বেসিন স্থাপন করে সেখানে হ্যান্ড ওয়াশিং সামগ্রী, স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়মিত এগুলো ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষক কর্মচারীরাও এ নিয়ম বিধি অনুসরণ করে চলছে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা না থাকলেও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে অভিভাবকদের নিয়ে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা এসব নিয়ম মোটেও মানছে না।
অধিকাংশ ই মাস্ক বিহীন অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠানে আসছে। বিশ্রামাগারে পরিস্কারক ও পানির ব্যবস্থা থাকলেও তারা এগুলো ব্যবহারে উদাসীন। গাদাগাদি করে বসে গল্প জোড়ে দিচ্ছেন অন্য অভিভাবকদের সাথে। আড্ডা, হৈ-হুল্লোড় আর হাসি তামাশায় কাটাচ্ছেন সময়।
নির্দেশনা থাকলেও সেসব মানার কোন লক্ষণই নেই তাদের। এতে উদ্বেগ আর আশংকা বাড়ছে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা তাদের অসতর্কতা বাড়িয়ে দিতে পারে করোনা, ঘটে যেতে পারে বিপর্যয়। হাড়িসাংগান উচ্চ বিদ্যালয়, বারৈচা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দেওয়ানের চর উচ্চ বিদ্যালয়, বেশ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনে অভিভাবকদের এ মাখামাখির চিত্র চোখে পড়ে।
বেলাব ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সোলায়মান খন্দকার নরসিংদী জার্নালকে বলেন, আমরা অভিভাবকসহ সবাইকে বারবার অনুরোধ করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া স্কুলে আসাও নিষেধ করেছি। হাড়িসাংগান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মজিদ আফ্রাদ বলেন, শিক্ষার্থী শিক্ষকগণ শৃঙ্খলা মানলেও অভিভাবকদের মানানো যাচ্ছে না। তাদের মাস্ক পড়ার অনুরোধ করলেও তারা পড়ছে না। আশঙ্কা হচ্ছে শিক্ষার্থীরা নয়, অভিভাবকরা সংক্রমণ বাড়িয়ে দিবে।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সুম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ খবর মিডিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান।